গ্রীষ্মে এই গরম ও ঘামের কারনে আমাদের শরীরে দেখা দিচ্ছে রীতিমতো ডায়রিয়া, পানিস্বল্পতা ও বদ-হজমের মতো সমস্যাজনিত নানা সমস্যা, এমনকি জ্বর থেকে হিট স্ট্রোক পর্যন্ত হচ্ছে। এর পাশাপাশি আমাদের পানিবাহিত নানা রকম রোগের প্রাদুর্ভাব তো থাকছেই। তাই আমাদের অবশ্যই সাবধান হওয়া উচিৎ এবং খাবারের পানি, এবং পানীয় খাবার নির্বাচনে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
♦ আমাদের প্রথমত বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে তৈরি করা খাবার, সাথে নানা ধরনের শরবত, পানি, পানীয় এবং জুস প্রভৃতি অস্বাস্থ্যকর হতে পারে। তাই আমরা নিজেকে ঐসব খাবার থেকে বিরত রাখতে হবে।
♦ আপনার সারা দিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, ফল, ফলের রস, কম তেল-মসলায় রান্না ঝোল তরকারি, সবজি, পাতলা ডাল/আম ডাল এবং সম্মতিপূর্ণ পরিমাণে সালাদ থাকা উচিত। ফল, ফলের রস, সবজি ও সালাদ আপনার শরীরকে প্রয়োজনীয় পানি ও পুষ্টি সরবরাহ করে কর্মক্ষম ও সুস্থ রাখবে।
♦ কিছু মানুষ ডাবের পানি ও স্যালাইন খেতে পারেন, তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা আছে, তাদের জন্য স্যালাইন ব্যতীত পানি বেশি পান করা উচিত এবং লেবু পানি বা ডাবের পানি খেতে পারেন।
♦ ভাত বা রুটি যে খাবারটি সাধারণত খেতে হয় সেগুলোর সাথে অল্প তেল বা মসলা ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু সেসব খাবার পান করা যেতে না যাদের প্রতিটি খাবারে বিশেষ কিছু সমস্যা হয়, তাদের জন্য নিম্নোক্ত খাবার সুপারিশ করা হচ্ছে – পেঁপে, কলা, লাউ, ডাটা, শসা, করলা, ঢেঁড়স, লালশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ধুন্দল, চিচিংগা, পটোল এবং কচুশাক। মাছের ক্ষেত্রে দেশি ও ছোট মাছ বেশি পান করা উচিত। মাংসের ক্ষেত্রে লাল মাংস না হলে সাদা মাংস প্রাধান্য দেওয়া উচিত। খাবারের জন্য সবসময় লো-ক্যালরি এবং সুষম হতে হবে।
♦ নাশতার টেবিলে পেঁপে, কাঁচা/পাকা আমের রস, গাজর, শসা বা টমেটোর রস রাখুন। ফলের মধ্যে আঁশসমৃদ্ধ এবং মিষ্টি কম ফল নিন। রাখুন বাঙ্গি, তরমুজ, বেলের শরবত কিংবা দই, লাচ্ছি, মাঠা, লাবাং বা পুদিনা পাতার সঙ্গে দইয়ের স্মুদি। ঠান্ডা কাস্টার্ড, ফালুদা বা ফলের সালাদ রাখতে পারেন।
♦ হিটস্ট্রোক এর আশঙ্কা থাকলে পর্যটন করা যাবে না বলে সেজন্য গরম সময়ে শাড়ি পরা, সানহাট ব্যবহার করা, পর্দা বা ছাতা লাগানো, পানি পর্যবেক্ষণ করা এবং পর্যটনের পর্যাপ্ত জলপাই নেওয়া ইত্যাদি করতে হবে।
♦ বাইরে যাওয়ার সময় সর্ত বা জলছাপ থেকে লুকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই ছাতা নিয়ে যান। আপনার ব্যাগে পানির বোতল রাখুন। দিনে ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি পান করা উচিত।